1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে করোনার ভয়াল থাবা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৭৭ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বড় ধরনের অসুখ-বিসুখ, দুর্ঘটনা কিংবা মারাত্মক কোনো বিপদ-আপদে আকস্মিক মোটা অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হলে যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়, সে জন্য চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ তিল তিল করে যে ক্ষুদ্র সঞ্চয় গড়ে তুলেছেন, মরণব্যাধি করোনা এবার তাতে ভয়াল থাবা বসিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি, গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট ও গণপরিবহণ দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ থাকায় চাকুরেদের পাশাপাশি পেশাজীবী মানুষও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙে খেতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে কারও কারও সঞ্চয় শেষ হওয়ার পথে। আবার খুদে ব্যবসায়ীদের অনেকের সঞ্চয় শেষে পুঁজিতে টান পড়েছে।

অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা আরও দীর্ঘমেয়াদি হলে দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের খুদে সঞ্চয়ের পুরোটাই শেষ হয়ে যাবে। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের বিত্তশালী আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় পর্যায়ে চড়া সুদে ঋণ প্রদানকারী বিভিন্ন সমবায় সমিতি কিংবা সুদি মহাজনদের দ্বারস্থ হতে হবে। তাদের অনেকের বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের টিউশন ফি, হাউস টিউটরের বেতন, গ্যাস-বিদু্যৎ-পানির বিল বকেয়া পড়বে, যা পরবর্তীতে সহজে পরিশোধ করাও তাদের জন্য দুষ্কর হবে। কেননা করোনার প্রকোপ কেটে গেলেও নানা প্রতিবন্ধকতা ও সংকটে কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়বে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির চাকুরে ও পেশাজীবীদের একটি বড় অংশের বেকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিরও আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা।

বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিম্ন ও মধ্য আয়ের চাকরিজীবীরা জানান, তারা সাধারণত চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আগের মাসের বেতন পান। মাসের প্রথমভাগের সময়টুকুতে তারা স্থানীয় মুদি দোকান থেকে চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাকিতে কেনেন, যা বেতন হাতে পাওয়ার পর পরিশোধ করেন। বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের টিউশন ফি, হাউস টিউটরের বেতন, গ্যাস-বিদু্যৎ-পানির বিলও তারা বেতন পাওয়ার পর পরিশোধ করেন। সংসারের সব ধরনের খরচ মেটানোর পর সামান্য যে অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে তা তারা তিল তিল করে জমিয়ে ছোটোখাটো সঞ্চয় গড়ে তোলেন। যা ছেলেমেয়েসহ পরিবার-পরিজনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর, ডাকঘর কিংবা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আসছিলেন।

অথচ গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক খাতে বড় ধাক্কা লাগার পর চাকরিস্থলসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বেতন-ভাতা পরিশোধ অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় ভেঙে জীবন নির্বাহ করতে হচ্ছে।

চাকরিজীবীরা জানান, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক সময়ে প্রত্যেক মাসের বেতন পরের মাসের মাঝামাঝি সময়ে কিংবা তার কিছু আগে বা পরে পরিশোধ করে থাকে। তবে করোনার প্রকোপের কারণে এবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফেব্রম্নয়ারির বেতন মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে দিতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করায় মার্চ ও এপ্রিলের বেতনও তাদের বকেয়া পড়েছে।

মধ্যবিত্ত চাকুরেদের আশঙ্কা, ৫ মে’র পর সাধারণ ছুটির মেয়াদ আর না বাড়িয়ে বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও বকেয়া বেতন পরিশোধ দূরে থাক, চলমান মাসের বেতন দেওয়ার সক্ষমতা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের থাকবে না। কেননা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের বাইরে অফিস ভাড়াসহ অন্যান্য বকেয়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিশোধ করতে হবে। অর্থনৈতিক এ মন্দা পরিস্থিতিতে মালিকরা অনেকে অফিসের লোকবল কমানোর কথা ভাববে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাকরি হারানোর ভয়ে স্বল্প আয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই বকেয়া বেতনের জন্য মালিকপক্ষকে চাপ দিতে সাহস পাবেন না। এ অবস্থায় তাদের সঞ্চয় ভেঙেই খেতে হবে। তাই উদ্বিগ্ন অনেকেই আগেভাগেই তাদের ছোটোখাটো স্থায়ী সঞ্চয়ও ভাঙিয়ে ফেলছেন। কেননা পাছে সে সুযোগ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও অনেকে সংশয়ে রয়েছেন।

রাজধানীর একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র হিসাবরক্ষক শহীদুল আলম জানান, বেতনের ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা বাসা ভাড়া, ১০ হাজার টাকা পরিবারের খাওয়া খরচ এবং ৫-৭ হাজার টাকা যাতায়াত ও চিকিৎসা খরচসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় করার পর প্রতি মাসেই সামান্য কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকত, যা গত কয়েক বছর ধরে জমিয়ে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে দেড় লাখ টাকার এফডিআর করেছিলেন। অথচ করোনার কারণে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অফিস বন্ধ থাকায় ফেব্রম্নয়ারি-মার্চের বেতন হাতে পাননি। এপ্রিলের বেতনও দেওয়া হবে না বলে অফিস থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় মেয়াদপূর্তির আগেই তিনি তার এফডিআরটি ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন। এতে তার এফডিআরের মুনাফার একটি বড় অঙ্ক গচ্চা গেলেও পরিবার নিয়ে টিকে থাকার জন্য বিকল্প কোনো পথ খুঁজে পাননি বলে জানান শহীদুল।

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপেস্নক্সের একটি খ্যাতনামা মোবাইল কোম্পানির শো-রুমের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ জামাল উদ্দিন জানান, প্রতি মাসের বেতন থেকে সংসার খরচ বাদ দিয়ে ১০-১৫ হাজার টাকা জমিয়ে লাখ চারেক টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। এ টাকা দিয়ে পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য মুন্সীগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে ঘর তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন। অথচ করোনার ভয়াল থাবা তার সে স্বপ্ন ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জামাল জানান, বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচ, চিকিৎসা ও সন্তানের স্কুলের টিউশন ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ তার মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। করোনার কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দুমাস ধরে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। করোনার প্রকোপ কেটে কবে আবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিক গতি ফিরতে কতটা সময় লাগবে, এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কত কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবে, মালিকরা আগের বেতনে তাদের চাকরিতে রাখবেন কি না, এসব কথা ভেবে তিনি তার সঞ্চয় ভেঙে পুরোটাই হাতে ক্যাশ করে নিয়েছেন বলে জানান জামাল উদ্দিন।

এদিকে শুধু শহীদুল কিংবা জামাল উদ্দিনের মতো চাকুরেরাই নন, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সেলুনসহ ছোটোখাটো দোকান মালিক, রেন্ট-এ-কারসহ অন্যান্য পরিবহণ ব্যবসায়ী এবং মধ্য আয়ের বিপুল সংখ্যক পেশাজীবীও তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য জমানো খুদে সঞ্চয় ভেঙে খেতে শুরু করেছেন। এদের অনেকে আবার ব্যবসার পুঁজিতেও টান পড়ার আশঙ্কা রয়েছেন।

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ফাস্টফুডের দোকান মালিক জানান, কর্মচারীদের বেতন না দিলেও তাকে দোকান-কারখানা ভাড়া, গ্যাস-পানির বিলসহ আনুষঙ্গিক অনেক খরচই বহন করতে হচ্ছে। এতে সব মিলিয়ে মাসে তার আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। করোনার কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা আরও এক-দুই মাস চলমান থাকলে তার সঞ্চয় ভাঙার পর পুঁজিতেও টান পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই দোকানি।

করোনা পরিস্থিতিতে পরিচালিত এক জরিপে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বলছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে চরম দারিদ্র্য অবস্থা আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি ছুটি বা সামাজিক দূরত্বের কারণে ৭২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন অথবা তাদের কাজ কমে গেছে। আর ৮ শতাংশ মানুষের কাজ থাকলেও এখনো বেতন পাননি। অন্যদিকে মানুষের পারিবারিক আয় ৭৫ শতাংশের মতো কমে এসেছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে ধারণা পেতে ব্র্যাক এ জরিপ চালায়। ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ প্রোগ্রাম পরিচালিত জরিপটিতে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করেন ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স, আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এবং পার্টনারশিপ স্ট্রেংথেনিং ইউনিটের কর্মীরা।

জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে ব্র্যাক আরও জানায়, করোনা পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে ৩৬ শতাংশ মানুষ জানেন না অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে তারা কীভাবে মানিয়ে নেবেন। ২৩ শতাংশ আশা করেন (যার মধ্যে নারী ৩৮ শতাংশ) পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হলে সরকার তাদের সহায়তা করবে। যদি পরিস্থিতি খুব সহসাই স্বাভাবিক না হয় তাহলে ধার-দেনার চিন্তা করছেন শতকরা ১৯ ভাগ মানুষ।

এই জরিপে পাওয়া অন্যান্য উলেস্নখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পদক্ষেপের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ জীবিকার দিক থেকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ চরম দরিদ্রে পরিণত হয়েছেন অর্থাৎ দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে নেমে গেছেন। করোনাভাইরাসের পূর্বে আয়ের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে এবং ৩৫ শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার ঊর্ধ্বসীমার নিচে। এতে বোঝা যায়, চরম দারিদ্র্য আগের তুলনায় বর্তমানে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মহামারির আগে জরিপে অংশ নেওয়া ২ হাজার ৬৭৫ জনের গড় আয় ছিল ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা। যাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ জানিয়েছে এই করোনা প্রাদুর্ভাবের পর তাদের আয় কমেছে।

২০০৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ওই বছরের ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে দৈনিক ২ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত যারা খরচ করতে পারে তাদের মধ্যবিত্ত হিসেবে ধরেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের থাবা বাংলাদেশে গেড়ে বসায় এই মধ্যবিত্তদের অবস্থাও ক্রমে খারাপ হচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তা, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরে, দোকানদারসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মধ্যবিত্ত হিসেবে পরিচিতরা করোনাভাইরাসের অন্যতম শিকারে পরিণত হতে চলেছেন।

তারা বলেন, যেকোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা পান উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। মাঝখানে মধ্যবিত্তদের জন্য কোনো প্রণোদনা নেই। অথচ দ্রব্যমূল্য, বাড়ি-দোকান ভাড়ার ঊর্ধ্বগতি, জাতীয় বাজেটে ২০১৯ সালে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৮ সালে মানুষের দৈনন্দিন ব্যয় ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিপরীতে আয় বেড়েছে মাত্র ৪ থেকে ৬ শতাংশ। অর্থাৎ আয় ও ব্যয়ের মধ্যকার ব্যবধান বেড়েছে গড়ে ৬ শতাংশ। সুতরাং ব্যয় বৃদ্ধির সব সূচকে আগে থেকেই বাড়তি চাপের শিকার হয়ে আছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি। নতুন করে করোনাভাইরাস আঘাত হানায় এ সংকট আরও গভীর হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের সঞ্চয় ভেঙে খেতে হচ্ছে।

দৈনিক প্রত্যয়/ জাতীয়/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..